পথচারীদের অসহনীয় দুর্ভোগ
রাস্তায় তীব্র যানজট; হকারদের দখলে ফুটপাথ ; রাস্তায় রাস্তায় পার্কিং; পথচারীদের হাঁটার রাস্তাও বন্ধ
নিউজ ডেস্ক: মতিঝিল আলিকোর সামনের রাস্তাটির প্রায় অর্ধেকজুড়ে হকারদের দখলে। বাকি অর্ধেক দিয়ে চলছে গাড়ি। আর এতে শাপলা চত্বর থেকে টিকাটুলি ঘুরে বঙ্গভবনের পাশ হয়ে গাড়ির লাইন ঠেকেছে গুলিস্তান আহাদ বক্সের কাছে। ১০-১৫ মিনিটের মাথায় হয়তো ১০ গজ গাড়ি এগোয়। এভাবেই হাঁটা পথে ১০ মিনিটের এই রাস্তাটুকু গাড়িতে পার হতে দিনের কোনো কোনো সময় এক ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে। রাতেরও কোনো কোনো সময় দীর্ঘ জট লেগে থাকে এই এলাকায়। যানজটের এই চিত্র রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকায়। রাস্তা দখল করে বাণিজ্য, রাস্তায় পার্কিং, টাফিক বিভাগের অব্যবস্থাপনা এসব কারণে সৃষ্ট যানজটে চরম ভোগান্তির শিকার পথচারীরা। একাধিক পথচারী বলেছেন, যানজটের কারণে এখন রাস্তায় নামতে ভয় হয়। তারপরও রুটি-রুজির জন্য রাস্তায় বের হতে হয়।
বেলা ২টা। কাকরাইল থেকে পুরানা পল্টন মোড়ের দিকে যাওয়ার রাস্তাটি কানায় কানায় পূর্ণ। প্রায় আধা ঘণ্টা একই স্থানে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে গাড়িগুলো। কোনো নড়াচড়া নেই। দুপুর ১২টার পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এভাবেই রাজধানীর পরিস্থিতি ছিল ভয়াবহ। ইফতারির ঠিক আগ মুহূর্তে রাস্তাঘাট কিছুটা ফাঁকা হলেও যানজট কমেনি। সন্ধ্যার পর সেই যানজট আবারো তীব্র হয়ে ওঠে। ট্রাফিক পুলিশকেই অসহায় দেখা যায়। ৫টার দিকে ফার্মগেট থেকে গুলিস্তান ও মতিঝিল পর্যন্ত যানজট ছড়িয়ে পড়ে। স্থবির হয়ে যায় গোটা রাস্তার গাড়ি চলাচল। এ দিকে যানজটের কারণে বিকেলের দিকে পরিবহন সঙ্কটও তীব্র আকার ধারণ করে। এ সময় হাজার হাজার মানুষকে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কাকলী থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত তীব্র যানজটে আটকে পড়ে অনেককেই রাস্তায়ই ইফতার সারতে হয়।
রোজার শুরু থেকেই রাজধানীতে শুরু হয়েছে তীব্র যানজট। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে যানজট ততই তীব্র হচ্ছে। গতকাল সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মারাত্মক যানজটের সৃষ্টি হয়। সময় যত বাড়তে থাকে যানজটও তত বেড়ে যায়। সকাল ১০টার পর থেকেই যানজট অসহীয় রূপ নেয়। আর দুপুর ১২টার পর থেকেই কোনো কোনো এলাকা স্থবির হয়ে পড়ে। ভূক্তভোগীরা জানান, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, টিকাটুলী, সদরঘাট থেকে গুলিস্তান, মতিঝিল, দৈনিক বাংলা, শাহবাগ, নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, পুরো মিরপুর রোড, সাত মসজিদ রোড, ঝিগাতলা, ধানমন্ডির বিভিন্ন রাস্তা, বাংলামোটর, ফার্মগেট, নাবিস্কো থেকে তেজগাঁও সাত রাস্তা ও মহাখালী থেকে ফার্মগেট, কাকলী থেকে এয়ারপোর্টসহ রাজধানীর বেশির ভাগ রাস্তাঘাটই গতকাল অবরুদ্ধ ছিল। পুরান ঢাকার অলিগলি পর্যন্ত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল। এমন অনেক এলাকা ছিল যেখানে রাস্তাঘাটে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। বেলা ২টার পর রাজধানীর প্রায় প্রতিটি রাস্তা প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
২টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটর সিগন্যালে দেখা যায় ট্রাফিক পুলিশ ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। কাওসার নামে এক যাত্রী বলেন, তিনি সাড়ে ১২টায় মতিঝিল থেকে রওনা হয়ে ধানমন্ডি গেছেন বেলা আড়াইটায়। অথচ ২০ মিনিটেরও রাস্তা না। অপর এক যাত্রী বলেন, মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে মোটরসাইকেলে ফার্মগেটের সিনেমা হলের সামনে পৌঁছেছেন এক ঘণ্টায়। অথচ হেঁটে এই পথটুকু যেতে সময় লাগে ৬-৭ মিনিট। যানজটের কারণে রোজাদারদের অসহনীয় যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় রাস্তায় নেমে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে যে চিত্র দেখা যায় তাতে মনে হয়েছে রাস্তার ওপর অবৈধ পার্কিংয়ের কারণেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় রাস্তার দু’পাশজুড়ে দেখা যায় শত শত গাড়ি পার্কিং করা। বড় বড় ভবনেরও কোনো পার্কিং না থাকায় বাধ্য হয়ে ওই ভবনের সামনে গাড়ি রাখা হয়েছে। এই চিত্র দেখা যায় কাকরাইল মোড় থেকে পল্টন থানা পর্যন্ত। এই এলাকায় বেশ কয়েকটি ব্যস্ত মার্কেট থাকলেও ওইসব মার্কেটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পার্কিং ব্যবস্থা নেই। মার্কেটগুলোতে আসা ক্রেতারা বাধ্য হয়ে গাড়ি রাস্তার পাশে রেখে মার্কেটে ঢুকছেন। বাংলামোটর লিংক রোডের তিনের দুইভাগই দখল করে আছে পার্কিং করা গাড়ি। ফলে এটুকু রাস্তায় যে জট সৃষ্টি হয় তা পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। কোনো কোনো এলাকার রাস্তা পুরোটাই দখল করে পার্কিং বানানো হয়েছে। বিশেষ করে ওই সব পার্কিংয়ে সরকারি যানবাহনই দেখা যায়। সচিবালয় এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাঝের রাস্তাটি পুরো পার্কিংয়ে পরিণত হয়েছে। ফলে এই এলাকার রাস্তাগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তার পাশে যানবাহন পার্কিং করায় রাস্তার আকৃতি ছোট হয়ে যায়। ফলে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে রাস্তা আটকে ব্যবসা করার দৃশ্য অহরহ। এ দিকে রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকার ফুটপাথ এখন হকারদের দখলে। অনেক এলাকায় ফুটপাথ ছেড়ে রাস্তার ওপরও পসরা সাজিয়ে বসেছে হকাররা। বিশেষ করে গুলিস্তানের বেশ কয়েকটি রাস্তা এখন হকারদের দখলে। এ কারণেও অনেক এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। রাজধানীর মিরপুর রোডের নীলক্ষেত থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি পর্যন্ত রাস্তার পাশে দুই-তিন সারিতে পার্ক করে রাখা হয়েছে বিভিন্ন যানবাহন। স্থানীয় সূত্র জানায়, এ কারণে ওই এলাকায় প্রতিদিনই তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। বড় বড় শপিং মল ও বিপণিবিতানের সামনে গভীর রাত পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট লেগে থাকছে।
বেলা ২টা। কাকরাইল থেকে পুরানা পল্টন মোড়ের দিকে যাওয়ার রাস্তাটি কানায় কানায় পূর্ণ। প্রায় আধা ঘণ্টা একই স্থানে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে গাড়িগুলো। কোনো নড়াচড়া নেই। দুপুর ১২টার পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এভাবেই রাজধানীর পরিস্থিতি ছিল ভয়াবহ। ইফতারির ঠিক আগ মুহূর্তে রাস্তাঘাট কিছুটা ফাঁকা হলেও যানজট কমেনি। সন্ধ্যার পর সেই যানজট আবারো তীব্র হয়ে ওঠে। ট্রাফিক পুলিশকেই অসহায় দেখা যায়। ৫টার দিকে ফার্মগেট থেকে গুলিস্তান ও মতিঝিল পর্যন্ত যানজট ছড়িয়ে পড়ে। স্থবির হয়ে যায় গোটা রাস্তার গাড়ি চলাচল। এ দিকে যানজটের কারণে বিকেলের দিকে পরিবহন সঙ্কটও তীব্র আকার ধারণ করে। এ সময় হাজার হাজার মানুষকে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কাকলী থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত তীব্র যানজটে আটকে পড়ে অনেককেই রাস্তায়ই ইফতার সারতে হয়।
রোজার শুরু থেকেই রাজধানীতে শুরু হয়েছে তীব্র যানজট। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে যানজট ততই তীব্র হচ্ছে। গতকাল সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মারাত্মক যানজটের সৃষ্টি হয়। সময় যত বাড়তে থাকে যানজটও তত বেড়ে যায়। সকাল ১০টার পর থেকেই যানজট অসহীয় রূপ নেয়। আর দুপুর ১২টার পর থেকেই কোনো কোনো এলাকা স্থবির হয়ে পড়ে। ভূক্তভোগীরা জানান, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, টিকাটুলী, সদরঘাট থেকে গুলিস্তান, মতিঝিল, দৈনিক বাংলা, শাহবাগ, নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, পুরো মিরপুর রোড, সাত মসজিদ রোড, ঝিগাতলা, ধানমন্ডির বিভিন্ন রাস্তা, বাংলামোটর, ফার্মগেট, নাবিস্কো থেকে তেজগাঁও সাত রাস্তা ও মহাখালী থেকে ফার্মগেট, কাকলী থেকে এয়ারপোর্টসহ রাজধানীর বেশির ভাগ রাস্তাঘাটই গতকাল অবরুদ্ধ ছিল। পুরান ঢাকার অলিগলি পর্যন্ত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল। এমন অনেক এলাকা ছিল যেখানে রাস্তাঘাটে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। বেলা ২টার পর রাজধানীর প্রায় প্রতিটি রাস্তা প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
২টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটর সিগন্যালে দেখা যায় ট্রাফিক পুলিশ ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। কাওসার নামে এক যাত্রী বলেন, তিনি সাড়ে ১২টায় মতিঝিল থেকে রওনা হয়ে ধানমন্ডি গেছেন বেলা আড়াইটায়। অথচ ২০ মিনিটেরও রাস্তা না। অপর এক যাত্রী বলেন, মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে মোটরসাইকেলে ফার্মগেটের সিনেমা হলের সামনে পৌঁছেছেন এক ঘণ্টায়। অথচ হেঁটে এই পথটুকু যেতে সময় লাগে ৬-৭ মিনিট। যানজটের কারণে রোজাদারদের অসহনীয় যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় রাস্তায় নেমে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে যে চিত্র দেখা যায় তাতে মনে হয়েছে রাস্তার ওপর অবৈধ পার্কিংয়ের কারণেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় রাস্তার দু’পাশজুড়ে দেখা যায় শত শত গাড়ি পার্কিং করা। বড় বড় ভবনেরও কোনো পার্কিং না থাকায় বাধ্য হয়ে ওই ভবনের সামনে গাড়ি রাখা হয়েছে। এই চিত্র দেখা যায় কাকরাইল মোড় থেকে পল্টন থানা পর্যন্ত। এই এলাকায় বেশ কয়েকটি ব্যস্ত মার্কেট থাকলেও ওইসব মার্কেটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পার্কিং ব্যবস্থা নেই। মার্কেটগুলোতে আসা ক্রেতারা বাধ্য হয়ে গাড়ি রাস্তার পাশে রেখে মার্কেটে ঢুকছেন। বাংলামোটর লিংক রোডের তিনের দুইভাগই দখল করে আছে পার্কিং করা গাড়ি। ফলে এটুকু রাস্তায় যে জট সৃষ্টি হয় তা পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। কোনো কোনো এলাকার রাস্তা পুরোটাই দখল করে পার্কিং বানানো হয়েছে। বিশেষ করে ওই সব পার্কিংয়ে সরকারি যানবাহনই দেখা যায়। সচিবালয় এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাঝের রাস্তাটি পুরো পার্কিংয়ে পরিণত হয়েছে। ফলে এই এলাকার রাস্তাগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তার পাশে যানবাহন পার্কিং করায় রাস্তার আকৃতি ছোট হয়ে যায়। ফলে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে রাস্তা আটকে ব্যবসা করার দৃশ্য অহরহ। এ দিকে রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকার ফুটপাথ এখন হকারদের দখলে। অনেক এলাকায় ফুটপাথ ছেড়ে রাস্তার ওপরও পসরা সাজিয়ে বসেছে হকাররা। বিশেষ করে গুলিস্তানের বেশ কয়েকটি রাস্তা এখন হকারদের দখলে। এ কারণেও অনেক এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। রাজধানীর মিরপুর রোডের নীলক্ষেত থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি পর্যন্ত রাস্তার পাশে দুই-তিন সারিতে পার্ক করে রাখা হয়েছে বিভিন্ন যানবাহন। স্থানীয় সূত্র জানায়, এ কারণে ওই এলাকায় প্রতিদিনই তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। বড় বড় শপিং মল ও বিপণিবিতানের সামনে গভীর রাত পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট লেগে থাকছে।
No comments