বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছে, এবার সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই...
স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালের নির্বাচনে কুমিল্লার ১২টি আসনের মধ্যে ১১টিতে জয়লাভ করেছিল বিএনপি। দলটি ১৯৯৬ সালে পাঁচটিতে, ২০০১ সালে সব কটি আসনে জয়লাভ করে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে সীমানা পুনর্নির্ধারণের কারণে জেলার সংসদ আসন একটি কমিয়ে ১১টি করা হয়। ওই নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবির মধ্যেও কুমিল্লায় দলটি দুটি আসনে জয়লাভ করে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করায় বিএনপি এখন আর সংসদে নেই।
এ প্রেক্ষাপটে একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। কুমিল্লায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা ৯ আসনেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তাদের ভাষায়, মেঘমুক্ত আকাশের অপেক্ষায় আছে তারা। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে নানা কায়দায় প্রচার চালাচ্ছে তারা।
বেশির ভাগ আসনে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা মাঠে নামতে না পারলেও কয়েকটি আসনে ইউনিয়ন কমিটি করে, ইফতার মাহফিল করে সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নিজেদের নেতাকর্মীদের সক্রিয় রেখেছেন নেতারা। চলতি বছরই কুমিল্লা সদর আসন এলাকায় আওয়ামী লীগের কোন্দলের সুযোগ নিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ ছিনিয়ে নিয়েছে দলটি। আর উপজেলা নির্বাচনগুলোতেও সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে বেশ কয়েকটিতে ভালো ফল করেছে।
দুনিয়া একদিকে আর কুমিল্লার দাউদকান্দি ও হোমনা আসন বিএনপির দিকে—এমনটাই মনে করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-মেঘনা) আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এলাকায় এসে অনুষ্ঠান করার জন্য পুলিশের অনুমতি পান না। ইফতার মাহফিলের অনুমতিও পাননি। কিন্তু কেউ মারা গেলে জানাজায় অংশগ্রহণ, বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়াসহ নানাভাবে এলাকায় আসেন তিনি। এ সময় হাজার হাজার লোকের সমাগম হয়ে যায়।
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এখন তো আর আমি ওই পর্যায়ের নেতা না যে এলাকায় এলাকায় যাব। এর পরও কিছু কর্মসূচি নিতে চাই; কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয় না। ’ তিনি মনে করেন, বিএনপি নির্বাচনে যাবে কি যাবে না সেটা পরিষ্কার হলে জনমতের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে। মানুষ মুখ খুলতে শুরু করবে। পরিস্থিতি তখন বোঝা যাবে।
এ আসনে ড. খন্দকার মোশাররফের বিকল্প হিসেবে তাঁর ছেলে ড. খন্দকার মারুফ হোসেনকে মনে করে নেতাকর্মীরা। তবে ড. মোশাররফের সাফ কথা, ‘আমি থাকা অবস্থায় তো আর আমার ছেলে নির্বাচনে আসবে না। ’
এ আসনে (কুমিল্লা-১) ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া। ২০১৪ সালেও নির্বাচিত হন তিনি। এর আগে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বিএনপির ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনে ২০০৮ সালের নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপির এম কে আনোয়ার পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের রমরমা অবস্থার সময়েও গত উপজেলা নির্বাচনে হোমনা ও তিতাস উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার এবারও প্রার্থী হতে পারেন যদি স্বাস্থ্যগত সমস্যা বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। যদি তিনি নির্বাচন করতে না পারেন, তাহলে হোমনা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মোল্লা অথবা তিতাস উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি সালাউদ্দিন সরকার মনোনয়ন পেতে পারেন। মনোনয়নের আশায় দুজনই ইউনিয়ন কমিটিগুলো গুছিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে তেমন কোনো বিরোধ নেই।
কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। তিনি আত্মগোপনে চলে যাওয়ার পর ওই এলাকায় বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম তেমন নেই। তবে কর্মীদের কেউ কেউ ফেসবুকে সক্রিয়। মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত কায়কোবাদের ভাইয়েরা বেশির ভাগ সময় দেশের বাইরে থাকেন। এবার ঈদুল ফিতরে কয়েক ঘণ্টার জন্য এলাকায় এসেছিলেন কায়কোবাদের ছোট ভাই কাজী শাহ আরেফিন ও কাজী জুন্নুন বশরী। কায়কোবাদের আরেক ভাই কে এম মুজিবুল হক আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শেখ হেলালের চাচাতো বোন বিয়ে করে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে এলাকায়। বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম না থাকলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম খসরু ও সাবেক মন্ত্রী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার স্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাহিদা রফিক এলাকায় সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সক্রিয় রয়েছেন। উপজেলা বিএনপির সভাপতি মহিউদ্দিন অঞ্জন বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। আর সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মুজিবুল হক এলাকায় থাকলেও নীরব রয়েছেন।
কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনে বিএনপি প্রকাশ্যে কোনো কার্যক্রম চালাতে না পারলেও উপজেলা নির্বাচনে দলের শক্তিমত্তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সব কটি পদেই বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থীরা জিতেছেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে এ পরিস্থিতির তেমন ব্যত্যয় হবে বলে মনে করে না স্থানীয় মানুষজন। তাদের মতে, বহু মামলার আসামি বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী যদি নির্বাচনে দাঁড়ানোর সুযোগ পান এবং নির্বাচন ‘নামমাত্র’ নিরপেক্ষও হয়, তাহলে তাঁর বিজয় আটকানো খুবই কঠিন। এখন তিনি এলাকায় যেতে পারেন না। রমজানে পাশের উপজেলা চান্দিনায় এলে সেখানে কয়েক হাজার লোকের জমায়েত হয়ে যায়। সম্প্রতি সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থীদের যে তালিকা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে তাতে মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী, তাঁর স্ত্রী মাজেদা আহসান মুন্সী ও ছেলে ব্যারিস্টার রেজবাউল আহসান মুন্সীর নাম ছাড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আওয়াল খানের নাম রয়েছে।
আবদুল আওয়াল খান বলেন, যেহেতু মুন্সী পরিবার নানা মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে আছে, সেহেতু দলের নেত্রী তাঁকে এলাকায় সক্রিয় থাকতে বলেছেন। তা ছাড়া নবীন নেতৃত্বের প্রতি বিএনপি এখন বেশি জোর দিচ্ছে ভবিষ্যত্ রাজনীতির কথা চিন্তা করে।
উল্লেখ্য, এ আসনে ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী প্রার্থী হতে না পারায় প্রার্থী হন তাঁর স্ত্রী মাজেদা মুন্সী। তিনি ৩৫ হাজার ভোটে হারেন।
কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) সংসদীয় এলাকায় বিএনপির সাংগঠনিক তত্পরতা বেশ চোখে পড়ার মতো। দুটি উপজেলায় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও কৃষক দলের কমিটি করা হয়েছে এরই মধ্যে। প্রায় সব ইউনিয়নেই বিএনপির উদ্যোগে ইফতার মাহফিল করে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ। আগে গ্রুপিং থাকলেও এখন তা নেই বললেই চলে। জেলার মধ্যে সাংগঠনিকভাবে বিএনপি বেশ ভালো অবস্থানে আছে এ উপজেলায়।
শওকত মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন সাত বছর আগে আমাকে এ এলাকার সমন্বয়ক করে পাঠিয়েছেন নির্বাচন করার জন্যই। এখানে বিএনপির অবস্থা ভালো। তবে মুক্ত রাজনীতির চর্চা করা যাচ্ছে না পুলিশের বাধায়। ’ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেন শওকত মাহমুদ।
কুমিল্লা জেলা বিএনপির কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকলেও বর্তমানে সেসব ভুলে একসঙ্গে কাজ করছেন দলের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আমিন উর রশিদ ইয়াছিন ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। এ দুজন কুমিল্লা-৬ (সদর) সংসদীয় এলাকার নেতা। নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে জেলা ও মহানগর যুবদলের কমিটিও করেছেন। জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি করবেন বলেও শোনা যাচ্ছে। আপাতদৃষ্টিতে দুজনের মধ্যে বিরোধ না থাকলেও নেতাকর্মীরা বিস্তর ফারাক দেখতে পায়। সদর আসনে আমিন উর রশিদ ইয়াছিন ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হবেন—এটা একরকম নিশ্চিত।
কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) সংদীয় আসনের লাকসাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম হিরুকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয় দলের কেন্দ্রীয় শিল্প বিষয়ক সম্পাদক চৈতি গ্রুপের কর্ণধার আবুল কালামকে। হিরুর সঙ্গে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় লাকসাম পৌর বিএনপির সভাপতি হুমায়ূন কবির পারভেজকে। এখনো তাঁরা নিখোঁজ।
এদিকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হওয়ার পর আবুল কালাম উপজেলা যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনগুলোতে নিজের সমর্থক নেতাদের পদায়ন করেন। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে ওই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) আনোয়ারুল আজিমের সঙ্গে। দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিম গত ৬ জুন ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে শতাধিক নেতাকর্মীসহ দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। দলের চেয়ারপারসনের কাছে পদত্যাগপত্র জমাও দেন। কিন্তু তা গৃহীত হয়নি বলে জানা গেছে। এরপর গত ২৭ জুন ডা. নুরুল্লাহ রায়হানকে সভাপতি ও শাহ আলমকে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা করেন কর্নেল আজিম।
কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনে বিএনপি দুটি ধারায় বিভক্ত। একটি বিএনপি ত্যাগ করে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিতে (এলডিপি) যোগ দিয়ে মহাসচিব হওয়া সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেদওয়ান আহমেদ সমর্থক বিএনপি; অন্যটি রেদওয়ান আহমেদ বিএনপি ছেড়ে যাওয়ার পর দুর্দিনে হাল ধরা নেতা খোরশেদ আলম সমর্থক বিএনপি। কথা ছিল রেদওয়ান এলডিপিতে গেলে তাঁর সমর্থক নেতা খোরশেদও যাবেন। কিন্তু তিনি যাননি। বিএনপির হাল ধরেছেন। এতে চরম ক্ষুব্ধ রেদওয়ান মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে খোরশেদকে চরম বেকায়দায় ফেলেন। জেলও খাটিয়েছেন। খোরশেদও পাল্টা মামলা করেছেন। ফলে দ্বন্দ্বটা এখন চরমেই। এলডিপি বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় ঐক্যজোটে থাকায় রেদওয়ান আহমেদ জোটের ভাগে এ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন এমন ধারণা অনেকের।
কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনটি মূলত ২০ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতের শক্ত ঘাঁটি ছিল। এ আসন থেকে জামায়াতের নেতা ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সংসদ সদস্য হয়েছেন ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে। কিন্তু ২০০৮ সালের পর জামায়াত ওই এলাকায় বেশ বেকায়দায় পড়েছে। মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে বিএনপি। এবার আগেভাগেই দলের নেতারা জানিয়ে দিয়েছেন জামায়াতের প্রার্থী ডা. তাহেরকে মনোনয়ন দিলে তাঁরা নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেবেন না। তাঁরা এবার নিজেদের মধ্য থেকে প্রার্থী চান। এ ক্ষেত্রে মনোনয়ন চাইতে পারেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি কাজী নাসিমুল হক, উপজেলা শাখার বর্তমান আহ্বায়ক কামরুল হুদা।
কুমিল্লা-১০ (কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ও নাঙ্গলকোট) আসনের নাঙ্গলকোটে চরম কোন্দলে নিমজ্জিত বিএনপির জনসমর্থন ব্যাপক হলেও মাঠে নেই দলটি। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া যুবদল ও ছাত্রদলকে নিয়ন্ত্রণ করলেও মাঠপর্যায়ে ব্যাপক জনপ্রিয় সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গফুর ভূঁইয়া। তবে তিনি এলাকায় আসতে পারেন না। ছাত্রদলের এক অনুষ্ঠানে এলাকায় এলেও পুলিশ তাঁকে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করতে বলে দেয়। সে সময় হাজার হাজার মানুষের জমায়েত হয়ে যায়। এ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদারও মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।
No comments