Header Ads

Surfe.be - Banner advertising service
  • Breaking News

    শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে মামলা বিচারিক আদালতে


    নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের মামলাটি আমলি আদালত থেকে বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়েছে।

    আজ বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (আমলি) আফতাব উদ্দিন এই আদেশ দেন।

    এক শিক্ষিকাকে এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের আমলি আদালতে মামলার মামলা হয়।

    শ্যামল কান্তির আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় শ্যামল কান্তি ২০ জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে আছেন। আজ আমলি আদালত মামলাটি বিচারের জন্য বিচারিক আদালতে পাঠিয়েছেন।

    আজ আদালতে হাজিরা দিয়েছেন শ্যামল কান্তি। হাজিরা শেষে আদালত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পরিবার নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কে আছেন। তাদের ভয় দেখানো হচ্ছে। নিরাপত্তার কারণে তিন মেয়েকে এখানে রাখতে পারছেন না। তবে চাকরির কারণে স্বামী-স্ত্রী এখানে আছেন।
    শ্যামল কান্তি বলেন, ‘আমরা কোথায় যাব? আমি তো জন্মগতভাবে এ দেশের নাগরিক। একজন নাগরিকের যেমন সুযোগ-সুবিধা আছে, আমারও সেসব সুযোগ-সুবিধা থাকা উচিত। এ বিষয়গুলো সরকারের দেখা উচিত।’
    শ্যামল কান্তি অভিযোগ করে বলেন, তিনি একজন শিক্ষক। পরিকল্পিতভাবে তাঁকে স্কুল থেকে তাড়ানোর চেষ্টা চলছে। স্থানীয় সাংসদ সেলিম ওসমানের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে তাঁর (শ্যামল কান্তি) বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    শ্যামল কান্তি বলেন, ‘আমি একজন সাধারণ মানুষ। আমি কোনো রাজনীতি করি না। রাজনীতির ভেতরে নেই। আমি শুধু শিক্ষকতা পেশায় আছি। এটিই শুধু আমার মিশন ও ভিশন। আমাকে পলিটিক্যালভাবে নিয়ে এসেছেন সেলিম ওসমান সাহেব। প্রতারণামূলক মামলা দিয়ে উনি আমাকে চাপ দিচ্ছেন। কষ্ট দিচ্ছেন। আমি এই ঘটনার প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন ও ন্যায় বিচার চাই। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
    গত বছর ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ এনে নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শ্যামল কান্তিকে সেলিম ওসমানের নির্দেশে শারীরিক নির্যাতন ও কান ধরে ওঠ-বস করানোর ঘটনা ঘটে। এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেলে সারা দেশে তোলপাড় হয়।
    ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ২০১৬ সালের ২৭ জুলাই শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন বন্দরের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক মোর্শেদা বেগম। ওই মামলায় পুলিশ তদন্ত শেষে গত ২৪ মে শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। আত্মসমর্পণ করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ৩১ মে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে কারামুক্ত হন শ্যামল কান্তি।

    No comments

    Post Top Ad

    Surfe.be - Banner advertising service

    Post Bottom Ad