তামিম দেশে ফিরছেন স্ত্রীর ওপর এসিড হামলার ভয়ে!
এসেক্সের হয়ে ন্যাটওয়েস্ট টি২০ ব্লাস্টে কেন্টের বিপক্ষে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছেন টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল। কিন্তু একটি ম্যাচ খেলেই শিউরে উঠার মতো এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। খ্রিস্টান উগ্রবাদীদের এসিড হামলা থেকে কোনোরকম রক্ষা পেয়েছেন তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা।
গত ১০ জুলাই লন্ডনে একটি রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খেয়ে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, ওই বিদ্বেষমূলক হামলার পর এসেক্স কাউন্টির সঙ্গে চুক্তি মিটিয়ে দেশে ফিরছেন তামিম ইকবাল।
এসেক্সের হয়ে ন্যাটওয়েস্ট টি২০ ব্লাস্টে কেন্টের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেললেও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তামিম, করেছিলেন মাত্র সাত রান। ভক্তদের আশা ছিল হয়ত পরের ম্যাচেই হয়তো ঘুরে দাঁড়াবেন তামিম। কিন্তু তা আর হল না। একটি ম্যাচ খেলেই দেশের বিমান ধরতে হল এই ড্যাশিং ওপেনারকে।
আরও আট থেকে ৯টি ম্যাচ খেলার কথা ছিল এই বাঁহাতি ওপেনারের। হঠাৎ তার দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। টুর্নামেন্টের মাঝপথে কেন দেশে ফিরছেন তামিম, ভক্তদের মনেও জেগেছে এই প্রশ্ন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, রেস্টুরেন্ট থেকে বের হওয়ার পর তামিমের হিজাব পরিহিতা স্ত্রীকে দেখে একদল খ্রিস্টান উগ্রবাদী ধাওয়া করে। তাদের হাতে এসিডও ছিল। হামলা থেকে বাঁচতে শিশু সন্তানকে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটে যান তামিম দম্পতি। পরে হামলাকারীরা চলে গেলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তারা।
তামিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘একান্ত ব্যক্তিগত কারণে তিনি বাড়ি ফিরছেন।’
এর আগে কাল বিকেলে কাউন্টি ক্লাব এসেক্স তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানায়, ‘ব্যক্তিগত’ কারণে তামিম ক্লাব ছেড়ে যাচ্ছেন। বিবৃতিতে ইংলিশ কাউন্টির ক্লাবটি আরও লিখেছে, ‘আমরা তার মঙ্গল কামনা করছি। এই সময়ে তামিমের ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি সম্মান জানালে আমরা খুশি হব।’
দেশে ফেরার ‘ব্যক্তিগত’ কারণটা কী, জানতে চাইলে তামিমের বড় ভাই নাফিস ইকবাল ও চাচা আকরাম খান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। দুজনই বলেছেন, ‘তামিম নিজেই দেশে ফিরে এসে কারণ জানাবেন। এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরীও।’
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মুসলিম হিজাব পরিহিতা নারীদের লক্ষ্য করে যুক্তরাজ্যে বেশ কয়েকটি এসিড হামলার ঘটনা ঘটছে। এ ধরনের হামলা ক্রমশই বাড়ছে। গত ২১ জুন দুই বোন এসিড হামলার শিকার হন। এ ধরনের হামলা থেকে বাঁচতে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে বাসা-বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না মুসলিম নারীরা।
No comments