খালেদা জিয়া লন্ডন যাচ্ছেন আগামী সপ্তাহে
চিকিৎসার জন্য আগামী সপ্তাহে লন্ডন যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া। ইতোমধ্যে তার ভিসা সম্পন্ন হয়েছে। তার একান্ত সচিব আবদুস সাত্তার ও গৃহকর্মী ফাতেমা বেগমের ভিসাও হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস জানান, এখনও আনুষ্ঠানিক দিন-তারিখ ঠিক হয়নি, আরও ২/১ দিন সময় লাগতে পারে।
বিএনপি নেতারা জানান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী শনিবার কিংবা রোববার লন্ডন যেতে পারেন। এতদিন তার একান্ত সচিব ও গৃহকর্মীর ভিসা ছিল না। তাদেরও ভিসা হয়ে গেছে। এ ছাড়া তার যাবতীয় প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। তিনি লন্ডনে যে চিকিৎসককে দেখাবেন তার সঙ্গেও অ্যাপয়েন্টমেন্ট করা হয়েছে। বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডন যাওয়ার ব্যাপারে প্রতিদিনই খালেদা জিয়ার কথা হচ্ছে। লন্ডনে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হতে পারেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, নির্বাহী কমিটির সদস্যসহ চার থেকে পাঁচজন। তাদের ভিসাসহ যাবতীয় প্রস্তুতি আগেই শেষ হয়েছে।
দলের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, লন্ডনে চোখ ও পায়ের চিকিৎসা করাবেন খালেদা জিয়া। এর আগেও তিনি সেখানে চিকিৎসা করিয়েছেন। ঈদুল আজহা শেষ করে দেশে ফেরার ইচ্ছা ছিল তার। কিন্তু আগামী নির্বাচন সংক্রান্ত অনেক কাজ হাতে থাকায় তিনি লন্ডনে চিকিৎসা শেষ করেই দেশে ফিরতে চান। তবে সবকিছু নির্ভর করছে তারেক রহমানের ওপর।
দেশে ফেরার পর নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখার প্রস্তাব তুলে ধরবেন খালেদা জিয়া। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিএনপির সংলাপ, সহায়ক সরকারের পক্ষে জনমত গড়ে তোলাসহ বিভিন্ন বিষয় রয়েছে। এ জন্য এই সময়টা কাজে লাগাতে চান তিনি। এসব কার্যক্রমের কারণেই তিনি লন্ডনে বেশি দিন থাকবেন না বলে জানা গেছে।
দলের এক নেতা জানান, আগামী ১৫ কিংবা ১৬ জুলাই খালেদা জিয়া লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে দলের সাংগঠনিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়ে যাবেন। এসব বিষয়ে ইতোমধ্যে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে কথা বলেছেন খালেদা জিয়া। তৃণমূল পর্যায় থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দলের সাংগঠনিক অবস্থা আরও জোরদার করার ব্যাপারে সিনিয়র নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
সূত্র জানায়, আগামী নির্বাচন সামনে রেখে লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলছেন খালেদা জিয়া। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় নির্বাচন, স্থায়ী কমিটির শূন্য পদ পূরণ, জাতীয় নির্বাহী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদায়ন, জেলা কমিটি গঠন এবং সরকারবিরোধী আন্দোলনের কৌশল নিয়ে আলোচনা। এসব নিয়ে আলোচনা করতে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকাও যুক্তরাষ্ট্র থেকে লন্ডনে যেতে পারেন। দলের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা, আগামী নির্বাচনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থী, নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা এবং প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে বিএনপির কী ধরনের সম্পর্ক রয়েছে তা নিয়েও তারেক রহমানের সঙ্গে পরামর্শ করবেন খালেদা জিয়া।
No comments