Header Ads

Surfe.be - Banner advertising service
  • Breaking News

    স্বরূপে ফেরার আশায় হাজি মকবুল


    প্রথমবার সংসদ সদস্য হয়ে বলতে গেলে পাঁচ বছর ধরেই আলোচনায় ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা মকবুল হোসেন। কিন্তু ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জিতে পরের নির্বাচনে হেরে গিয়ে রাজনীতির খেলাতেই যেন হেরে যান হাজি মকবুল নামে সমধিক পরিচিত এই রাজনীতিক। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তাকে উপেক্ষা করেছে দল। ভাগ্যে শিকে ছিঁড়েনি পরের নির্বাচনেও।
    তবে গত বছর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের পর মকবুল উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পাওয়ার পর আবার আলোচনায় তিনি। আলোচিত হচ্ছে ঢাকা মহানগরের যেকোনো একটি আসন থেকে আওয়ামী লীগের টিকিটে নির্বাচন করতে পারেন তিনি।
    তবে সংবাদ প্রতিদিনকে মকবুল বলেন, ‘মনোনয়নের বিষয়টি টু আর্লি, ঢাকা মহানগরে যা কিছু হবে নেত্রীই সিদ্ধান্ত নেবেন। নেত্রী সার্বক্ষণিক জানেন কোন আসনে কার কী অবস্থা।’
    মকবুল হোসেন ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৯ আসন থেকে নির্বাচিত হন। তখন ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুর মিলিয়ে একটিই আসন ছিল। তবে নবম সংসদ নির্বাচনের আগে আসন পুনর্বিন্যাসের পর ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুর দুটি আলাদা আসন হয়। এখন মোহাম্মদপুর আসনটি ঢাকা-১৩ তে পড়েছে।
    ক্ষমতায় থাকাকালে মোহাম্মদপুরে মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনা হয়। বিশেষ করে মাদ্রাসার জমি দখল নিয়ে অভিযোগের জবাব দিতে পারেননি তিনি। যদিও এসব অভিযোগকে সব সময় তিনি প্রতিপক্ষের চক্রান্ত বলে আসছেন।
    সংবাদ প্রতিদিনকে মকবুল আহমেদ বলেন, ‘আমি রাজনীতিতে আছি। আর নির্বাচন করলে তো মোহাম্মদপুর থেকেই করব।’
    তাহলে কি আমরা ধরতে পারি, আপনি মনোনয়নের জন্য চেষ্টা করছেন? এমন প্রশ্নে মকবুল আহমেদ বলেন, ‘আমি আগে নেত্রীর সঙ্গে দেখা করব। আলোচনা করে পরের সিদ্ধান্ত নেব।’
    গত দুই সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন-বঞ্চিত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমি মনোনয়ন পাইনি, বিষয়টা এমন নয়। আমি আসলে চাইনি। আপনি বিষয়টি খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন।’
    ২০০১ সালে নির্বাচনে পরাজয়ের পর পাঁচ বছর বিএনপি-জামায়াত জোটের সরকারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয়ও ছিলেন মকবুল আহমেদ। তবে ১/১১ রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরেই তিনি রাজনীতি থেকে অনেকটা নির্বাসনে চলে যান।
    মকবুল আহমেদ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ছিলেন। স্বেচ্ছাসেবক লীগের দায়িত্ব নিয়ে সংগঠনকে গোছাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
    রাজনীতির বাইরেও জনসেবায় মকবুলের সুনাম আছে। রাজধানীর ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ কারণে ওই এলাকায় তার একটা শক্ত অবস্থান রয়েছে।
    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেন, ‘অতীতে বিএনপিবিরোধী আন্দোলনে মকবুল আহমেদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের একজন পরীক্ষিত সৈনিক। মাঝে কিছুটা সময় তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না সেভাবে। সম্মেলনের মাধ্যমে তাকে দলের উপদেষ্টা পরিষদে স্থান দেয়া হয়েছে।’
    এই নেতা আরও বলেন, ‘মকবুল ভাইকে নিয়ে নিশ্চয় দলের হাইকমান্ডের পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্যই তাকে দলের উপদেষ্টা পরিষদে স্থান দেয়া হয়েছে। আগামী নির্বাচনে ঢাকা মহানগরের কোনো আসনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেও বিস্মিত হওয়ার কিছুই নেই।’ - নিজস্ব প্রতিবেদন

    No comments

    Post Top Ad

    Surfe.be - Banner advertising service

    Post Bottom Ad