চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে জনসচেতনতা কার্যক্রম জোরদারের আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে ভয়ভীতি দূর করতে জনসচেতনতা কার্যক্রম জোরদারে চিকিৎসকদের আরো তৎপর হবার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চিকুনগুনিয়া নিয়ে অহেতুক আতঙ্কিত হবার কোনো ভিত্তি নেই। মানুষের মনের ভয় কাটাতে ও রোগের চিকিৎসা বিষয়ক পরামর্শ প্রদানে চিকিৎসকরাই বড় ভূমিকা রাখতে পারেন। এজন্য পথসভাসহ জনসচেতনতা কার্যক্রম গ্রহণে বিএমএকে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি চিকুনগুনিয়ার উৎস এডিস মশক নিধনে সিটি কর্পোরেশনগুলোর কার্যক্রমে আরো গতি বাড়াতে তাদের উদ্ধুদ্ধকরণেও ভূমিকা রাখতে হবে চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন বিএমএকে। ’
দেশের বন্যা উপদ্রুত এলাকায় চিকিৎসক দল পাঠানোর জন্য বিএমএ’র প্রতি আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জনগণের সরকার হিসাবে বিভিন্ন দুর্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার সব সময় অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে। বিএমএ নেতৃবৃন্দকেও বন্যা বা পাহাড়ী ঢলসহ যেকোনো দুর্যোগে দুর্গত মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এগিয়ে আসতে হবে।
এ সময় বিএমএ মহাসচিব হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কয়েকটি প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিএমএ নেতৃবৃন্দের প্রস্তাবনাগুলো মনোযোগ সহকারে শুনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাস্তবায়নযোগ্য মতামতসমূহ দ্রুত আলোচনা করে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।
বিএমএ উত্থাপিত কয়েকটি প্রস্তাবনা আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানযোগ্য হওয়ায় সেগুলো নিয়েও বৈঠক করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি।
এ ছাড়াও হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর সাথে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বৈঠকে বসবেন বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, চিকিৎসকদের কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়নের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে সরকার।
এ ক্ষেত্রে এক সপ্তাহের মধ্যে সুনির্দিষ্ট মতামত প্রেরণের জন্য বিএমএ’র প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিএমএ’র মতামত পাওয়ার পর দ্রুত আইনের খসড়া চূড়ান্ত করে মন্ত্রিসভা বৈঠকে উত্থাপনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি রোগীদের স্বার্থের কথা ভেবে তাদের প্রতি সহানুভূতিমূলক আচরণে উৎসাহ যোগাতে বিএমএ’র পক্ষ থেকে প্রতি মাসে তরুণ চিকিৎসকদের নিয়ে বিশেষ কাউন্সিলিং কোর্স চালু করার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, চিকিৎসা দিতে আসা চিকিৎসক ও নিতে আসা রোগীর কেউ যেন হয়রানি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে সবাইকে কাজ করতে হবে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ সিরাজুল হক খান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম, বিএমএর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও বিএমএ’র নেতৃবৃন্দ।
No comments