ফেসবুকের কল্যাণে ১৪ বছর পর মাকে ফিরে পেল হাফিজুর
সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ‘ফেসবুকের’ কল্যাণে নিখোঁজের ১৪ বছর পর হাফিজুর রহমান তার মাকে ফিরে পেয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার গোড়ামী গ্রামে বাকপ্রতিবন্ধী মা রহিমা খাতুনকে (৫৫) ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন পুত্র হাফিজুর। এ সময় তার বোনজামাই আবদুল জলিলও শাশুড়িকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। বাসস।
চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের শৈলবাড়ী গ্রামের মৃত ভরসা মণ্ডলের স্ত্রী বাকপ্রতিবন্ধী রহিমা খাতুন স্বজনদের ওপর রাগ করে ২০০৩ সালে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হন। নিকট আত্মীয়-স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান না পেয়ে হতাশ হয়ে যায়। কিন্তু মাকে হারানোর বেদনা পুত্র হাফিজুর রহমান ভুলতে পারেন না।
পেশায় ভ্যানচালক হাফিজুর সময় পেলেই তার মাকে খুঁজে বেড়াতেন। ৬ জুলাই খুলনা ক্রিকেট নামীয় ফেসবুক পেইজে নিখোঁজ এক নারীর ছবি দেখতে পায় হাফিজুরের এক ভাগ্নে। বিষয়টি ভাগ্নে তার মামা হাফিজুরকে জানায়। তারা ফেসবুকের লেখা থেকে জানতে পারেন, এক বাকপ্রতিবন্ধী নারী হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটের গোড়ামী গ্রামের দুলাল তরফদারের বাড়িতে রয়েছেন। ছবি দেখে হাফিজুর তার মাকে চিনতে পারেন। পরে তিনি ফেসবুকের মাধ্যমে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তাত্ক্ষণিক তার বোনজামাই আবদুল জলিলকে সঙ্গে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে হবিগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেন। শুক্রবার বিকেলে তারা হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটের গোড়ামী গ্রামের দুলাল তরফদারের বাড়িতে পৌঁছেন।
বিষয়টি জানার পর দুলাল তরফদারের বাড়িতে লোকজনের ঢল নামে। মাকে পেয়ে হাফিজুর মহাখুশি। সবার উপস্থিতিতে হাফিজুর তার মাকে শনাক্ত করেন। তার মাও সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরেন। এলাকার মেম্বার মো. আবদুল মান্নান, মুরুব্বি হাজী হাছন আলী, সমাজসেবক আবদুল মালেক, সায়েম তালুকদারসহ এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে দস্তখত দিয়ে মা রহিমা খাতুনকে নিয়ে যান তার সন্তান হাফিজুর।
No comments