কক্সবাজারে পাহাড় কাটার অভিযোগে: আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
জেলা শহরে পাহাড় কাটার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ইমাম মুসলিম সেন্টারের পরিচালক ও জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে একাধিকবার গ্রেফতার হওয়া ছালাহুল ইসলাম, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শফিউল্লাহসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পরিবেশ অধিদফতর। তদন্ত শেষে সাড়ে চার বছর পর এ অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম পরিবেশ আদালতে সম্প্রতি এ প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবেশ অধিদফতর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ আদালতের স্পেশাল পিপি মো. সাইফুল ইসলাম।
ওই দুজন ছাড়া আরও যাদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে তারা হল-কক্সবাজার ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. শাহ আলমের ছোট ভাই মো. সোলতান, কলাতলী দক্ষিণ আদর্শগ্রাম সমিতির সভাপতি জহির সওদাগর, পাহাড়তলী এলাকার মো. সৈয়দ ড্রাইভারের ছেলে আবদুল হক, আবদুল মোতালেবের ছেলে মুহিউদ্দিন, মোহাম্মদের ছেলে মো. আমিন, মৃত রশিদ উজ্জামানের ছেলে মনিরুজ্জামান, দক্ষিণ ঘোনার পাড়ার মৃত জামাল আহম্মদের ছেলে মো. আমিন।
জানা যায়, কক্সবাজার শহরে পাহাড় কেটে প্লট বিক্রি কিংবা স্থাপনা নির্মাণ করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করার কারণে স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ায় ১২ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম পরিবেশ আদালতে একটি মামলা করা হয়। ২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি জনস্বার্থে এ মামলাটি করেন পরিবেশবাদী সংগঠন ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি (ইয়েস) কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী এম. ইব্রাহিম খলিল মামুন।
মামলার বাদী এম. ইব্রাহিম খলিল মামুন বলেন, পরিবেশ অধিদফতরের দেওয়া অভিযোগপত্রে একই মামলার এজাহারে থাকা কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মো. বাদলকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শহরের চন্দ্রিমা গেট এলাকার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল হোসেন ও জলিল আহম্মদের ছেলে ফরিদ আহম্মদ পাহাড় কাটলেও বর্তমানে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ তারা কক্সবাজারের বাসিন্দা এবং সবার পরিচিত।
এ প্রসঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিদফতর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্তে যা পাওয়া গেছে তাই আদালতে জমা দিয়েছি।’
No comments