Header Ads

Surfe.be - Banner advertising service
  • Breaking News

    আইপিএল : পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে কোন দল

    নিউজ ডেস্ক: আইপিএলের ১১তম আসরে ইতোমধ্যে ২৯টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ছয়টি ম্যাচ জিতে শীর্ষে আছে সাকিব আল হাসানের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তাদের পয়েন্ট ১২। নেট রান রেট ০.৫১৪।

    দ্বিতীয় স্থানে আছে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। সাত ম্যাচের পাঁচটিতেই জিতেছে তার দল। একই সংখ্যক জয় নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে প্রীতি জিনতার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। নেট রান রেটে চেন্নাইয়ের চেয়ে পিছিয়ে তারা।

    এরপর আছে শাহরুখ খানের কলকাতা নাইট রাইডার্স। আট ম্যাচের চারটিতে জিতেছে তারা। পঞ্চম স্থানে আছে রাজস্থান রয়্যালস।৬ষ্ঠ স্থানে আছে মোস্তাফিজুর রহমানের মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ১০ম আসরের এই চ্যাম্পিয়নদের অবস্থা খুবই নাজুক। সাত ম্যাচের মাত্র দুটিতে জিতেছে তারা।

    এরপর আছেন যথাক্রমে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ও দিল্লি ডেয়ার ডেভিলস।
    দেখুন পয়েন্ট টেবিল-

      প্লে-অফ থেকে বাদ পড়তে পারে কোহলিরা!ক্যাচ ফেলার খেসারত গুণতে হল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে। সাত রানের মাথায় মুরুগান অশ্বিন যদি কলকাতা নাইট রাইডার্সের ওপেনার ক্রিস লিনের ক্যাচটা ধরতে পারতেন, তাহলে হয়তো ৬ উইকেটে হারতে হতো না আরসিবিকে। লিন সুযোগটা হাতছাড়া করেননি। ৪২ বলে তিনি হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। মূলত লিনের ব্যাটে ভর করে ১৭৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে কেকেআর পাঁচ বল বাকি থাকতেই চার উইকেট হারিয়ে জয়ের কড়ি জোগাড় করে নেয়। লিন সাতটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৫২ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন।

    ব্যাটে ঝড় তুলেছিলেন বিরাট কোহলিও। ৪৪ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত থাকেন আরসিবি অধিনায়ক। মূলত বিরাটের ব্যাটে ভর করেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ৪ উইকেটে ১৭৫ রান খাড়া করে। অনেকেই ভেবেছিলেন, আরসিবি হয়তো ম্যাচটা জিতে লড়াইয়ে ফিরবে। কিন্তু বিশ্রী বোলিং ও ফিল্ডিংয়ের জন্য বিরাটের অনবদ্য ইনিংস প্রাপ্য মর্যাদা থেকে বঞ্চিত হল। সাত ম্যাচে আরসিবি’র পয়েন্ট দাঁড়াল চার। কোহলিদের প্লে-অফে খেলার সম্ভাবনা কমল। এই ম্যাচ জিতে কিছুটা অক্সিজেন পেল কেকেআর। আট ম্যাচে নাইটদের পয়েন্ট আট।

    নাইট রাইডার্সের জয়ের ভিতটা গড়ে দেন দুই ওপেনার ক্রিস লিন ও সুনীল নারিন। তারা যোগ করেন ৫৯ রান। বৃষ্টির জন্য মিনিট কুড়ি খেলা বন্ধ ছিল। নারিন ২৭ রানে আউট হন। দ্বিতীয় উইকেটে লিনের সঙ্গে রবীন উথাপ্পা যোগ করেন ৪৯ রান। উথাপ্পা ২১ বলে করেন ৩৬ রান।

    তবে নীতীশ রানা পিঠে ব্যথা অনুভব করায় ১৫ রান মাঠ থেকে অবসৃত হন। বার্থ ডে বয় আন্দ্রে রাসেল প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আউট হয়ে যান। দীনেশ কার্তিক শুরু থেকেই চালিয়ে খেলে আরসিবি’র জয়ের আশায় জল ঢেলে দেন। ১০ বলে ২৩ রান করে কার্তিক যখন কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন, তখন কেকেআরের জয় ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। বিশ ওভারের প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন শুভমান গিল (৫)।

    টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। জ্বরে কাবু হয়ে এই ম্যাচে খেলতে পারেননি বেঙ্গালুরুর ব্যাটিংয়ের অন্যতম প্রাণভোমরা এবি ডি’ভিলিয়ার্স। তাঁর অনুপস্থিতি গোটা ফোকাসটাই গিয়ে পড়েছিল বিরাট কোহলির ওপর। তিনি অবশ্য হতাশ করেননি। যতক্ষণ ব্যাট করেছেন দর্শকরা আনন্দ উপভোগ করেছেন। কোহলি তিনটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন। পাঁচটি বাউন্ডারিও এসেছে তার ব্যাট থেকে।
    আরসিবি’র হয়ে ওপেন করতে নেমেছিলেন কুইন্টন ডি’কক ও ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। শুরুতে তারা কিছুটা গুটিয়ে থাকলেও ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন। ওপেনিং জুটিতে তাঁরা যোগ করেন ৬৭ রান। কেকেআরের হয়ে পীযূষ চাওলা প্রথম ওভারে মাত্র এক রান দিয়েছিলেন। কিন্তু সুনীল নারিন, মিচেল জনসনরা শুরু থেকেই প্রচুর রান দেয়ায় কেকেআর কিছুটা হলেও চাপে পড়ে যায়। তার ওপর উইকেট না পড়ায় দীনেশ কার্তিকের কপালে দেখা গিয়েছিল চিন্তার ভাঁজ। এই ম্যাচের ভাগ্য যে স্পিনারদের হাতে সেটা প্রিভিউতেই লেখা হয়েছিল। প্রত্যাশা মতোই ভারতের রিস্ট স্পিনার কুলদীপ যাদব এদিন চার ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে একটি উইকেট তুলে নেন। কুইন্টন ডি’কককে (২৯) আউট করেকেকেআরকে প্রথম সাফল্যটি এনে দেন কুলদীপ।

    বল হাতে প্রথম ওভারেই জ্বলে ওঠেন আন্দ্রে রাসেল। দশম ওভারের পঞ্চম বলে ম্যাকালাম ৩৮ রানে উইকেটরক্ষক দীনেশ কার্তিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন। দু’টি চার ও দু’টি ছক্কা হাঁকান ম্যাকালাম। পরের বলে রাসেল তুলে নেন মনন ভোরার উইকেট। আরসিবি’র ব্যাটসম্যানটি খাতাই খুলতে পারেননি।

    পর পর তিনটি উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে পড়ে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এক ধাক্কায় রান রেট অনেকটাই নীচে নেমে গিয়েছিল। তবে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে উপচে পড়া ভিড় আশা ছাড়েনি। তাঁরা বিরাট কোহলির বিধ্বংসী ব্যাটিং দেখার অপেক্ষায় ছিলেন। হতাশ করেননি বিরাট। মন্থর উইকেটে অসাধারণ ব্যাটিং করেন ভি কে। চতুর্থ উইকেটে মনদীপ সিংয়ের সঙ্গে তিনি ৬৫ রান যোগ করেন। সাত ম্যাচে কোহলির রান গিয়ে দাঁড়াল ৩১৭। কোহলি হাফ-সেঞ্চুরি করার পর গ্যালারিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় স্ত্রী অনুষ্কা শর্মাকেও। কেকেআরের হয়ে রাসেল তিনটি উইকেট নেন।

    No comments

    Post Top Ad

    Surfe.be - Banner advertising service

    Post Bottom Ad