Header Ads

Surfe.be - Banner advertising service
  • Breaking News

    মানুষ নামের অমানুষ! খাবারের লোভ দেখিয়ে শিশু তানহাকে ধর্ষণে পড়ে গলা টিপে হত্যা !


    এমনটা ঘটছে প্রায়শই! এমন অমানুষ শিপনরা ছড়িয়ে আছে আপনার আমার চারপাশে ঘাপটি মেরেই । কোথায় সমস্যা, কিসে সমাধান কেও জানেনা। একের পর এক দুর্বিসহ ঘটনা এসে কোটি মানুষের বিবেককে নাড়া দিচ্ছে। আগের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের নতুন কোন ঘটনা এসে পেছনে ফেলে দিচ্ছে আগের নৃশংসতা। দিনকে দিন কেমন ‘গাঁ সওয়া’ হয়ে পড়ছে সব। এবার সচেতন মহলের বিবেক নাড়া দিয়ে আরও এক লজ্জার ইতিহাস তৈরি হলো রাজধানীর বাড্ডায় ।
    রাজধানীর বাড্ডায় চার বছরের শিশু তানহাকে খাবারের লোভ দেখিয়ে বাসায় ডেকে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন করে শিপন নামে এক পাষণ্ড। এ সময় শিশুটি চিৎকার দিলে তাকে গলা টিপে হত্যা করে ওই ঐ মানুষরূপী পশু। পরে শিশুটির লাশ ওই বাড়ির বাথরুমে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
    গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন।
    এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সামাজিক মাধ্যমে ‘গতানুগতিক ধারায়’ চলছে প্রতিবাদ। ঘৃনার প্রকাশ করছেন হাজারো মানুষ।
    ফেসবুকে আহমেদ তৌফিক লিখেছেন,
    কিছু সময় স্তব্ধই হয়েছিলাম !
    এমন নিষ্পাপ হাঁসি মুখের তানহা’র মত আমারো সন্তান আছে। এতটুকুন অবোধ শিশুও নিরাপদ নয় ভাবতেই বুক কেপে উঠছে বারবার …
    আমার চিরচেনা গন্ডিতে, হাজারো স্বজন, বন্ধু, প্রতিবেশি আমি কাকে বিশ্বাস করবো আর কাকে করবোনা? …
    যারা তানহাদের মত এমন অবোধ শিশুকেও তাদের বিকৃত লালসার শিকার করছে ওরা কেওইতো অন্য কোন গ্রহের নয় ! বনের হিংস্র পশুও নয়!আলাদা কোন বৈশিস্টও নেই এমন অমানুষদের !
    আশ্চর্য !এরা হুবুহু মানুষের মতই দেখতে! অথচ কি ভয়ংকর অমানুষ !
    একজন অভিভাবক হিসেবে, এই দেশের একজন নিরীহ নাগরিক হিসেবে হাজারো এলোমেলো ভাবনার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলছেনা কিছুতেই ।
    কেও কি জানাতে পারেন,কোথায় মিলবে নিশ্চিত নিরাপত্তা ?এমন অশনিসংকেত আর ভয় মাথায় নিয়ে কোথায় লুকিয়ে রাখবো আমার সন্তানকে ?

     এর আগে, গত রোববার গত রোববার সন্ধ্যায় আদর্শনগর এলাকার ৩৬০ নম্বর বাসার বাথরুম থেকে তানহাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর মধ্যরাতে শিপনকে (৩৫) গ্রেফতার করে গোয়েন্দারা। এ সময় শিপনের ঘর থেকে শিশুটিকে ধর্ষণের আলামত হিসেবে রক্তমাখা একটি তোয়ালে ও আসামির কাপড় উদ্ধার করা হয়। গতকাল তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
    শিপনের স্বীকারোক্তি থেকে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই শিশুর বয়স তিন বছর ৯ মাস। তার বাবা বাড্ডা থানা এলাকার আদর্শনগরের মিনহাজ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়া থাকেন। গত রোববার ওই বাসার পাশের বাসায় জাহেদা আক্তার কলি নামে এক নতুন ভাড়াটিয়া আসে। শিশুটি জাহেদা আক্তার কলিকে আন্টি ডাকে এবং তার বাসায় যাতায়াত করে। শিপন ওই বাসাতেই অপর একটি ঘরে স্ত্রী নিয়ে ভাড়া থাকে। তার স্ত্রী একজন পোশাককর্মী।
    ধর্ষক ও হত্যাকারি শিপন
    গত রোববার বিকেলে শিশুটি কলির বাসা থেকে শিপনের ঘরের সামনে দিয়ে তার নিজের ঘরে ফিরছিল। এ সময় শিপন তাকে খাবারের লোভ দেখিয়ে টানাটানি করে ঘরে নিয়ে যায়।
    আবদুল বাতেন আরো বলেন, ঘরে নিয়ে শিপন শিশুটিকে ধর্ষণ করে। তখন শিশুটি চিৎকার করা শুরু করলে শিপন তাকে গলা টিপে হত্যা করে। পরে শিশুটির লাশ বাসার টয়লেটে ফেলে দেয় শিপন। সন্ধ্যায় স্থানীয়রা টয়লেটের ভেতরে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়।
    পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ওই ঘটনার সংবাদ পেয়ে আসামিকে ধরতে কাজ শুরু করে ডিবি ও বাড্ডা থানা পুলিশ। রাত ১টার দিকে শিপনকে আদর্শনগর এলাকা থেকেই গ্রেফতার করা হয়। আসামির বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় মামলা করা হয়েছে।
    যুগ্ম কমিশনার আরো বলেন, শিশুটিকে হত্যার পর লাশ টয়লেটে রেখে দ্রুত শিপন তার ঘরের রক্তাক্ত বিছানার চাদর, গায়ের গেঞ্জি ও লুঙ্গি বালতিতে ভিজিয়ে রাখে।
    সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল বাতেন জানান, খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আসামি শিপন একটি ডাকাতি মামলার আসামি ছিল। এই মামলায় সে পাঁচ বছর জেলও খেটেছে। এক বছর আগে সে কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে দিনমজুরের কাজ শুরু করে। তার স্ত্রী একজন গার্মেন্ট কর্মী।

    নিহত তানহা জামালপুর জেলার প্রাইভেট কারচালক মেহেদীর মেয়ে। ওই বাসাতেই ভাড়া থাকত শিশু তানহার পরিবার।
    শিশুটির স্বজনদের দাবি, সন্ধ্যার কিছু আগে খবর পেয়ে দ্রুত পাশের বাসার ওই বাথরুম থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে তার মা ও স্থানীয়রা।
    সোমবার ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বুকফাটা আর্তনাদের শিশুটির মা সুলতানা বেগম দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনকে জানান, তারা যে বাড়িতে থাকেন ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন কলি নামে এক নারী ও তার স্বামী। তারা দু’দিন আগে এ বাসা থেকে ১০০ গজ দূরে পাশের বাড়িতে ভাড়ায় উঠেছেন।
    তিনি বলেন, রোববার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে তানহা আমাকে বলে কলি আন্টির বাসায় বেড়াতে যাব। আমি বলি যাও, তাড়াতাড়ি চলে এসো। বাসা থেকে বের হওয়ার পর সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেও ফিরছিল না তানহা।
    সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে পাশের বাড়ির এক নারী বাথরুমে যান। তিনি দেখেন টয়লেটের কমোডে মাথা গোজানো অবস্থায় পড়ে আছে তানহা। সঙ্গে সঙ্গে তিনি এসে খবর দেন। এরপর গিয়ে দেখি মেয়ে আমার সেখানে পড়ে আছে।

    তিনি জানান,যখন দেখলাম মেয়ের গোপনাঙ্গ দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। প্রথমে স্থানীয় মেডিলিংক হাসপাতালে নিয়ে যাই, তারপর আল সামি ক্লিনিক এবং পরে বাড্ডা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু কোনো হাসপাতালের চিকিৎসকই দেখতে রাজি হলেন না। তাদের একই কথা, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে বুঝতে পারলাম আমার মেয়ে মারা গেছে।
    এরপর তাকে বাসায় নিয়ে আসি। ওই বাড়ির পাশের আরেকটি বাসায় বসে আছেন তানহার বাবা মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, সকালে বাসা থেকে বের হয়ে যাই, ফিরি রাতে। আমারতো কোনো শত্রু নেই। এই বাসায় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে আছি। কিন্তু কেন আমার এমন সর্বনাশ করল। আমার মেয়ে গেছে, আরতো মেয়ে পাব না। আমি আমার মেয়ে হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
    পরবর্তি আপডেট,
    রাজধানীর বাড্ডায় খাবারের লোভ দেখিয়ে চার বছরের অবুঝ শিশু তানহাকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় ধর্ষক ও হত্যাকারী শিপনের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শুনানি শেষে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক শওকত হোসেন এ আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
    গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় তানহা নামে ৪ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় শিপন (৩৫) নামে এ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের একটি টিম। এই সময় শিপনের বাসা থেকে রক্তমাখা তোয়ালে আলামত হিসাবে জব্দ করা হয়।

    No comments

    Post Top Ad

    Surfe.be - Banner advertising service

    Post Bottom Ad