চলচ্চিত্রের রাজার শেষ কথাগুলো
নায়করাজ রাজ্জাক তার সর্বশেষ জন্মদিন অনুষ্ঠানে দীর্ঘ কয়েকঘণ্টার আলাপচারিতায় উঠে এসেছে নানা বিষয়াদি। সেই দীর্ঘ সাক্ষাত্কারই ছিল মূলত বিনোদন সাংবাদিকদের দেওয়া সর্বশেষ সাক্ষাৎকার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মনির হোসেন।
আজ প্রকাশ হলো সাক্ষাত্কারের প্রথম পর্ব।
জন্মদিনে বারবার কোন স্মৃতিটা ফিরে ফিরে আসে?
কোনো বিশেষ স্মৃতি না। বিক্ষিপ্তভাবে অনেক গল্পই ফিরে ফিরে আসে। এই ফিল্মকে ভালোবেসেই তো এতদূর। আহারে কতই না কষ্ট করেছি। আজ তো আউটডোরে গেলেই কত ভালো ভালো থাকার জায়গা। একবেলা খেয়েও শুটিং করেছি। সিনেমার জন্য কত কি-না সেক্রিফাইস করেছি।
কিন্তু এখন তো শিল্পীরা ইউনিট থেকে একবেলা না খেতে পেলেই দেখা যায় ফেসবুকে লিখে দেয়। আপনার হয়তো ফেসবুক নেই বলে এগুলো চোখে পড়ে না—
না, কী বলো, আমারও ওসব আছে। এই মোবাইলেই আছে। আমার নাতিই আমাকে দেখিয়ে দেয়। তবে নতুনদের বলবো আরও খানিকটা ইন্ডাস্ট্রিবান্ধব হতে। দেখো, আমি যখন একটানা রোমান্টিক ছবিতে কাজ করি। একটা পর্যায়ে কিন্তু আমাকেও থামতে হয়েছে। তখন আমি কয়েকজন প্রডিউসার-পরিচালকের সাথে বসলাম। তখন যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশ। ক্ষ্যাপাটে তরুণ তখন পুরো দেশজুড়ে। তখন ঠিক করলাম, এই সময় সরল প্রেমের আলাপ চলবে না। তখনই নিজেকে ভাঙলাম। এই যে সময়টা বোঝা দরকার সবারই। কখন আমাকে থামতে হবে। এখনকার ছেলেরা যে সবাই একমুখে ছুটছে, অর্থাত্ অমুক ছবিটা হিট তো, ওই রকমই নায়ক হতে হবে আমাকে।
No comments