ইউনূসের সম্মেলনে অনুমতি না দেয়ায় ৬২৫ শিক্ষকের নিন্দা
ইউনূস সেন্টারে আন্তর্জাতিক একটি সম্মেলন করার পুলিশ অনুমতি না দেয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) ৬২৫ জন শিক্ষক। ‘সপ্তম আন্তর্জাতিক সামাজিক ব্যবসা দিবস-২০১৭’ শীর্ষক এ সম্মেলন ইউনূস সেন্টারে আয়োজন করা হয়েছিল।
শুক্রবার সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ২৮-২৯ জুলাই ইউনূস সেন্টারের উদ্যোগে সপ্তম আন্তর্জাতিক সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। এ সম্মেলনে পাঁচশ’ বিদেশি অতিথিসহ ৩৬টি দেশের দুই হাজারের বেশি প্রতিনিধির অংশ নেয়ার কথা ছিল। বিশ্বের খ্যাতিমান ব্যক্তিদের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার জন্য সার্বিক প্রস্ততিও সম্পন্ন হয়েছিল। আমন্ত্রিত পাঁচশ’ বিদেশি অতিথির মধ্যে প্রায় দুইশ’ অতিথি এরই মধ্যে ঢাকায় উপস্থিতও হয়েছেন। সম্মেলনের বিষয়টি জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনসহ সাতটি দফতরে গত ২০ জুলাই চিঠি পাঠিয়েছিলেন বলেও ইউনূস সেন্টার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। সম্মেলনের অনুমতি না দেয়ায় কূটনৈতিকভাবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হলো। যা অনাকাঙ্ক্ষিত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইউনূস সেন্টারের এই আর্ন্তজাতিক সম্মেলনে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিবও অংশ নিতে ঢাকায় এসেছেন। কিন্তু সম্মেলনের অনুমতি না দেয়ার সরকারি এ সিদ্ধান্ত দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না। এ বাধা দেয়ায় ঘটনা ব্যক্তিগত আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এ ধরনের আর্ন্তজাতিক সম্মেলনে বাধা দেয়া স্বৈরতন্ত্রেরই হিংস্র রূপ। এর ফলে আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা আরও গভীর হবে। আমরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী ইউট্যাব নেতৃবৃন্দের মধ্যে অন্যতম হলেন- সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী, ড. ফরিদ আহমেদ, অধ্যাপক এম ফরিদ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ড. আল মোজাদেদ্দী আলফেছানি, অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী, অধ্যাপক ড. মাহফুজুল হক, ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ড. সিদ্দিক আহমদ চৌধুরী (চবি), ড. এম এ বারি মিয়া, ড. শামসুল আলম সেলিম (জাবি), ড. সাব্বির মোস্তফা খান (বুয়েট) প্রমুখ।
No comments