ইছামতি বাঁচাও পাবনাকে বাঁচাও
পাবনা শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত দখল-দূষণে মরা ঐতিহাসিক ইছামতি নদী উদ্ধারে সর্বস্তরের মানুষের আন্দোলন চলছে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার নদীপারের খেয়াঘাটে হাজার হাজার মানুষ সমাবেশ করেছে। এ সময় ‘ইছামতি বাঁচাও পাবনাকে বাঁচাও’ স্লোগানে নদীপাড় মুখরিত হয়ে ওঠে।
সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালো, পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মাহাতাব উদ্দিন বিশ্বাস, পাবনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রফেসর শিবজিত নাগ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোস্তাক আহমেদ সুইট, প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার, জেলা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি আব্দুল মতীন খান, এডিএম শাফিউল ইসলাম, চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুব-উল আলম মুকুল, পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, ইছামতি রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক এসএম মাহবুব আলম প্রমুখ।
জানা গেছে, দখল-দূষণের কারণে ইছামতি নদী এখন এক সরু ভাগারে পরিণত হয়েছে। জায়গা বিশেষে ১৮০/১৮৫ ফুট প্রশস্ত নদী এখন দখলদারদের কারণে ১০০ ফুট প্রশস্ততায় নেমে এসেছে। বাস্তবে দেখে বোঝার উপায় নেই যে এখানে এক সময় স্রোতস্বিনী ইছামতি নদী ছিল। এই নদীকে ঘিরে পাবনা সমৃদ্ধ হয়।
পাবানয় উৎপাদিত হোসিয়ারি এবং তাঁত পণ্যসহ আন্যান্য পণ্য সামগ্রী বড় বড় জাহাজে দেশের বাইরে রফতানি হত। আসতো স্টিমার। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই নদীতে তার পানসিতে চড়ে ভেসে বেড়াতেন। ইছামতি নদী নিয়ে তিনি লিখেছেন একাধিক কবিতা। কিন্তু এখন সেসব স্বপ্ন।
জানা গেছে, দখল-দূষণের কারণে ইছামতি নদী এখন এক সরু ভাগারে পরিণত হয়েছে। জায়গা বিশেষে ১৮০/১৮৫ ফুট প্রশস্ত নদী এখন দখলদারদের কারণে ১০০ ফুট প্রশস্ততায় নেমে এসেছে। বাস্তবে দেখে বোঝার উপায় নেই যে এখানে এক সময় স্রোতস্বিনী ইছামতি নদী ছিল। এই নদীকে ঘিরে পাবনা সমৃদ্ধ হয়।
পাবানয় উৎপাদিত হোসিয়ারি এবং তাঁত পণ্যসহ আন্যান্য পণ্য সামগ্রী বড় বড় জাহাজে দেশের বাইরে রফতানি হত। আসতো স্টিমার। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই নদীতে তার পানসিতে চড়ে ভেসে বেড়াতেন। ইছামতি নদী নিয়ে তিনি লিখেছেন একাধিক কবিতা। কিন্তু এখন সেসব স্বপ্ন।
এরশাদের আমল থেকে এখন পর্যন্ত সব সরকারের আমলেই ইছামতি নদী সংস্কার এবং দখলমুক্ত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়। টাকাও বরাদ্দ হয়। কিন্ত পরিকল্পনার পরি উড়ে যায়, কল্পনা পড়ে থাকে। মাঝখানে লাভবান হন সংশ্লিষ্ট কিছু কর্মকর্তা প্রকৌশলী এবং ঠিকাদার। ২০০৩ সালে জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সমন্বয়ে একটি জরিপ করা হয়। এতে পাবনা শহরের মধ্যে ২৮৫ জন দখলদার চিহ্নিত হয়। কিন্ত এরপর আর বিষয়টি এগোয়নি।
এবার পাবনা জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত আঁকা বাঁকা ৪২ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীটি উদ্ধার এবং দখল-দূষণমুক্ত করে একে আগের মত প্রবাহমান করতে আন্দোলন চলছে।
এই আন্দোলন চলাকালেই পদ্মা নদীর পানি বাড়ার কারণে পাউবো পদ্মার মুখে নদীতে দেয়া স্লুইচগেটের পাল্লা খুলে দেয়। এতে করে ৩০ বছর পর ইছামতি নদীতে দেখা দেয় স্রোত। এক সপ্তাহের মধ্যে নদীতে জমে থাকা দুই যুগের কলঙ্ক ধুয়ে মুছে যায়। এই স্রোতেই মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে নৌকায় নদী উদ্ধার আন্দোলনের শো-ডাউন হয়। এর আগে ১৯৮৮-এর বন্যায় ইছামতিতে পানির দেখা পাওয়া যায়।
No comments