ছয়শ কোটি ডলারে যুদ্ধজাহাজ কিনছে কাতার
ইতালির কাছ থেকে প্রায় ছয়শ কোটি ডলারে সাতটি যুদ্ধজাহাজ কিনছে কাতার। প্রতিবেশি দেশগুলোর অবরোধের মধ্যেই নিজেদের সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বুধবার নৌ জাহাজ কেনার ব্যাপারে চুক্তি স্বাক্ষর করে দোহা।
সামরিক চুক্তির পর ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলিনো অালফানো'র সঙ্গে যৌথ এক সংবাদ সম্মেলন করেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মুহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি। ইতালির কাছ থেকে পাঁচশ ৯০ কোটি ডলারে সাতটি যুদ্ধজাহাজ কেনার তথ্য জানান তিনি।
তবে চুক্তির ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। কেবল তারা বলছেন, দু'টি দেশ একে অপরকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা দেবে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্যাস রফতানিকারক দেশ কাতারসহ আরববিশ্বের অন্যান্য দেশ প্রতিরক্ষা খাতে বিপুল অর্থ ব্যয় করে আসছে। বিভিন্ন দেশ কাতারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে আসলেও সৌদি জোটের অবরোধের কারণে সবার কাছে দেশটি রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর হয়ে উঠেছে।
সিরিয়া এবং ইরাকে জঙ্গি বিরোধী অভিযান পরিচালনার জন্য কাতারে সবচেয়ে বেশি সেনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।
সৌদি আরবের নেতৃত্বে গত ৫ জুন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে মিসর, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব অামিরাত। ইরানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং মুসলিম ব্রাদারহুডসহ জঙ্গি সংগঠনগুলোকে সমর্থন, অর্থায়ন ও লালন পালনের অভিযোগে দেশগুলো দোহার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে অবরোধ আরোপ করে।
কাতারের জন্য আকাশসীমা, স্থলবন্দর ও সমুদ্রবন্দরও বন্ধ করে দেয় উপসাগরীয় এই চারটি দেশ। চলমান সংকটের মধ্যেই কাতার নিজেদের দেশে বিদেশিদের নাগরিকত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
সংকট নিরসনে যুক্তরাষ্ট্র, কুয়েত, তুরস্ক, ফ্রান্স ও জার্মানি চেষ্টা চালিয়েছে। তবে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে এখন পর্যন্ত কেউ সংকট সমাধান করতে পারেনি।
সম্প্রতি সৌদি জোট জানিয়েছে, তারা কাতারের সঙ্গে অালোচনায় বসতে আগ্রহী। এক্ষেত্রে তাদের দেয়া সর্বশেষ ১৩ টি শর্ত কাতারকে মেনে নেয়ার আশ্বাস দিতে হবে।
ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথ ওই সংবাদ সম্মেলনে থানি বলেন, যে কোনো ধরনের আলোচনা কাতারের সার্বভৌমত্বের জন্য সম্মানের। তবে কোনো ধরনের শর্ত মেনে আলোচনায় বসতে চায় না কাতার।
No comments