Header Ads

Surfe.be - Banner advertising service
  • Breaking News

    দাম বেড়েছে মুরগির


    ঈদুল ফিতরের পর এই সপ্তাহ থেকে জমতে শুরু করেছে রাজধানীর কাঁচাবাজার। প্রতি শুক্রবার রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রচুর ক্রেতা সমাগম হয়ে থাকে। গত সপ্তাহে ভিড় কিছুটা কম হলেও গতকালের বাজারে এর কমতি ছিল না। ইতোমধ্যে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে মুরগির দাম। রমজানের দুই মাস আগে থেকে রাজধানীর বাজারগুলোতে কয়েক দফায় সবজির দাম বেড়েছিল। ঈদের আগেও পণ্যের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। গতকালের বাজারেও তার ব্যতয় ঘটেনি। 

    গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে-সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টাকা বেশি দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে। লেয়ার মুরগি ৪০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি ২২০ টাকা, দেশি মুরগি প্রতিপিস ৪০০ টাকা, পাকিস্তানি লাল মুরগি প্রতিপিস ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

    এ ছাড়া গতকালের বাজারে কেজিপ্রতি লবণ ৪২ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৩২ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ২৮ টাকা, দেশি রসুন ১০৫ টাকা, ভারতীয় রসুন ১১৫ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা, শুকনা মরিচ ১৮০ টাকা, আলু ২৩ টাকা এবং হলুদ ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

    তবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মূল্য তালিকায় এই দামে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। এতে দেখা গেছে, দেশি রসুনের দাম ১১০ টাকা, আমদানি করা রসুনের দাম মানভেদে ১২০-১৬০ টাকা, পেঁয়াজ মানভেদে ২২-৩২ টাকা, ছোলা ৭৮-৮৫ টাকা, মুগ ডাল ১১০-১৩৫ টাকা, জিরা ৪৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৫০-১৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৭০-৪০০ টাকা। 

    বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ছোলা ৮৫ টাকা, দেশি মুগ ডাল ১৩০ টাকা, ভারতীয় মুগ ডাল ১২০ টাকা, মাসকলাই ১৩৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১২৫ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ৫ লিটারের ভোজ্যতেলের বোতল ব্র্যান্ডভেদে ৫০০-৫১০ টাকা, প্রতিলিটার ভোজ্যতেল ১০০-১০৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দারুচিনি ৩৬০ টাকা, জিরা ৪৫০ টাকা, শুকনা মরিচ ২০০ টাকা, লবঙ্গ ১৫০০ টাকা, এলাচ ১৬০০ টাকা, চীনের আদা ১২০ টাকা ও কেরালা আদা ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 
    নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচা পণ্যের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি বেগুন ৬০-৮০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০-৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি ফুলকপি ৩৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, লেবু হালিপ্রতি ২০ থেকে ৪০ টাকা, পালংশাক আঁটি প্রতি ১৫ টাকা, লালশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা ও লাউশাক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

    চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা স্বর্ণা প্রতিকেজি ৪৮ টাকা, পারিজা ৪৬ টাকা, মিনিকেট (ভালো মানের) ৬০ টাকা, মিনিকেট (সাধারণ) ৫৭ টাকা, বিআর২৮ ৫০-৫২ টাকা, সাধারণ মানের নাজিরশাইল ৫৪ টাকা, উন্নত মানের নাজিরশাইল ৫৬ টাকা, পাইজাম ৫০-৫২ টাকা, বাসমতি ৫৬ টাকা, কাটারিভোগ ৭৬-৭৮ টাকা ও পোলাও চাল ১০০ (পুরনো), নতুন ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

    মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকারভেদে প্রতিকেজি রুই মাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, সরপুঁটি ৩৫০-৪৫০ টাকা, কাতলা ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৮০ টাকা, সিলভার কার্প ২০০-২৫০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০-৩৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৫০-২৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, মাগুর ৬০০-৮০০ টাকা, চিংড়ি ৪০০-৮০০ টাকা, প্রতিটি ইলিশ ৮০০-১৫০০ টাকা, প্রতিকেজি ইলিশের দাম রাখা হচ্ছে ১৬০০ টাকা। এ ছাড়া গরুর মাংস ৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

    No comments

    Post Top Ad

    Surfe.be - Banner advertising service

    Post Bottom Ad