ফরহাদ মজহার অপহরণের প্রমাণ মেলেনি : আইজিপি
কবি, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহার অপহরণ হয়েছেন-তদন্তে এমন প্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যে তথ্য-উপাত্ত আমরা পেয়েছি, সে তথ্যের আলোকে মনে করছি ফরহাদ মজহার অপহরণ হননি। তবে এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে কিছুটা সময় লাগবে। যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘মাদকের ভয়াবহতা নিরসনে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল সকালে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদের সভাপতিত্বে মাদকের ভয়াবহতা তুলে ধরে আরও বক্তব্যে রাখেন-পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন সিরাজী, পর্ষদের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান কানুতোষ মজুমদার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিকুল আলম প্রমুখ। সেমিনারে বৃহত্তর ঢাকা অঞ্চলের ১২ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করে। সম্প্রতি ইংরেজি দৈনিক অবজারভারের ফটো সাংবাদিক আশিক মোহাম্মদকে মারধর করে পকেটে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আইজিপি বলেন, আশিকের বিরুদ্ধে মাদক মামলার ঘটনায় পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুলিশের কোনো সদস্য এতে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জঙ্গিবিরোধী অভিযানের বিষয়ে পুলিশপ্রধান বলেন, হলি আর্টিজানের ঘটনার পর এখন পর্যন্ত জঙ্গিবিরোধী ২১টি অভিযান হয়েছে। এতে ৫৭ জঙ্গি নিহত হয়েছে। এসব অভিযানে জঙ্গিরা কোণঠাসা ও দুর্বল হয়েছে। আমরা জঙ্গিদের অবস্থান গুঁড়িয়ে দিয়েছি। কিন্তু তাদের নিশ্চিহ্ন করতে পরিনি। শহরাঞ্চলে তারা সংগঠিত হতে না পেরে গ্রামে যাচ্ছে। আমরা তাদের নজরদারিতে রেখেছি। জঙ্গিবাদ ও মাদক নিয়ে আমরা উদ্বেগ-উত্কণ্ঠায় ছিলাম। এখন আর সেটা নেই। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। জঙ্গি কেবল মানবতার শত্রু নয়, ধর্মেরও শত্রু। মানুষ মারা ছাড়া এদের কোনো কাজ নেই। এদের ব্যাপারে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। পুলিশ জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থান গ্রহণ করেছে। কোনো পুলিশ সদস্যের মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জঙ্গিবাদ ও মাদককে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে পুলিশ।
No comments