ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, সরকারকে ফখরুল
ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার মিথ্য মামলাকে অস্ত্র হিসেবে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, মামলার কারণে বিএনপি ভয় পেয়ে যাবে, এটা হবে না। তিনি বলেন, ‘ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ভয় দেখিয়েও কোনো লাভ নেই।’
সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী ভবনে নগর বিএনপি (উত্তর) সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম ২০১৭ উদ্বোধনকালে বিএনপি নেতা একথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আসুন ঐক্যবদ্ধ হই। এখন কোনো ভেদাভেদ নাই। আমাদের একটাই কাজ এই সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা।’
ফখরুল বলেন, ‘দেশে কোনো সরকার নাই। চলছে এক ব্যক্তির শাসন, এক ব্যক্তির দুঃশাসন। এ থেকে বেরিয়ে আসতে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে।
বিএনপির সহায়ক সরকার চাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে দলের মহাসচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না- এই দাবি অতীতে আওয়ামী লীগের ছিল। দেশের রাজনীতিতে সংস্কৃতি চালু হয়েছিল যে, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জনগণ যাকে ইচ্ছে তাকে ভোট দিতে পারতো।’
‘কিন্তু এরা (আওয়ামী লীগ) অনির্বাচিতভাবে ক্ষমতায় এসে সেই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করেছে। তাই সরকারকে বলবো দাম্ভিকতা ও অহংকার ছেড়ে মানুষের কথা চিন্তা-ভাবনা করে আলোচনার ব্যবস্থা করুন। কারণ সবাই এখন সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিরাজনীতিকরণের মাধ্যমে দেশকে গণতন্ত্র ও রাজনীতির বাইরে নিয়ে যেতে সরকার উঠে-পড়ে লেগেছে। এদের চরিত্র দ্বিমুখী। মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে আর কাজ করে আরেক। তর্ক-বির্তক-যুক্তি বিশ্বাস করে না, পেশীশক্তি বিশ্বাস করে।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমান সর্ম্পকে কটূ কথা বলে অথচ জিয়াউর রহমানই আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন।’
আওয়ামী লীগ চুতর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে ৭২ এর সংবিধানে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে দিয়েছিল বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।
No comments