চার দিনেই লর্ডসে জিতল ইংল্যান্ড
কে ভাবতে পেরেছিল যে ১ উইকেটে ১১৯ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করা ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস এমন ভেঙে পড়বে! ঘটল কিন্তু ধারণার বাইরের ব্যাপারটিই। অ্যালিস্টার কুক ও গ্যারি ব্যালান্সের দ্বিতীয় উইকেট জুটি যখন লিডটা ক্রমেই প্রতিপক্ষের সাধ্যের বাইরে নিয়ে যেতে চলেছেন, তখন ঘুরে দাঁড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এমনই যে ৯৪ রানে শেষ ৯ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকরা শেষ করে ২৩৩ রানে। সে জন্যই প্রোটিয়াদের লক্ষ্য ৩৩১ রানের। কিন্তু সেটিও অনেক দূরের পথ হয়েই রইল ডিন
এলগারের দলের কাছে। ইংলিশ বোলারদের বোলিং তোপে ১১৯ রানেই যে গুটিয়ে গেছে প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংস। সুবাদে চতুর্থ দিনেই ২১১ রানে লর্ডস টেস্ট জিতে নেয় ইংল্যান্ড। ইংলিশদের অসাধারণ এ জয়ের অন্যতম রূপকার মঈন আলী। বলে-ব্যাটে রূপকথার মতো একটি ম্যাচ কাটিয়েছেন তিনি লর্ডসে। ভয়ংকর ঘূর্ণি বোলিংয়ের ছোবলে টপাটপ ছয় উইকেট নিয়ে প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংস গুঁড়িয়ে দেওয়ার আসল কারিগর তো এই স্পিনারই। প্রথম ইনিংসেও নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। তাতে ক্যারিয়ারে প্রথমবার ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়ার আনন্দেও তিনি ভেসেছেন। ও হ্যাঁ, ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৮৭ রানের কার্যকর এক হাফ সেঞ্চুরিও কিন্তু আছে তাঁর। ১৯৮০ সালে ইয়ান বোথামের পর প্রথম ইংলিশ হিসেবে একই টেস্টে ৫০ ছোঁয়া ইনিংস এবং দশ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন তিনি লর্ডসে। অমন দুর্দান্ত অলরাউন্ড নৈপুণ্যে স্বভাবত ম্যাচ সেরাও মঈনই।
এলগারের দলের কাছে। ইংলিশ বোলারদের বোলিং তোপে ১১৯ রানেই যে গুটিয়ে গেছে প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংস। সুবাদে চতুর্থ দিনেই ২১১ রানে লর্ডস টেস্ট জিতে নেয় ইংল্যান্ড। ইংলিশদের অসাধারণ এ জয়ের অন্যতম রূপকার মঈন আলী। বলে-ব্যাটে রূপকথার মতো একটি ম্যাচ কাটিয়েছেন তিনি লর্ডসে। ভয়ংকর ঘূর্ণি বোলিংয়ের ছোবলে টপাটপ ছয় উইকেট নিয়ে প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংস গুঁড়িয়ে দেওয়ার আসল কারিগর তো এই স্পিনারই। প্রথম ইনিংসেও নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। তাতে ক্যারিয়ারে প্রথমবার ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়ার আনন্দেও তিনি ভেসেছেন। ও হ্যাঁ, ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৮৭ রানের কার্যকর এক হাফ সেঞ্চুরিও কিন্তু আছে তাঁর। ১৯৮০ সালে ইয়ান বোথামের পর প্রথম ইংলিশ হিসেবে একই টেস্টে ৫০ ছোঁয়া ইনিংস এবং দশ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন তিনি লর্ডসে। অমন দুর্দান্ত অলরাউন্ড নৈপুণ্যে স্বভাবত ম্যাচ সেরাও মঈনই।
শুরুতেই ওপেনার হেইনো কুনকে ফেরান জেমস অ্যান্ডারসন। তিনি যেতে না যেতেই অফস্পিনার মঈন আলীকে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ডিন এলগারও। দলকে ১২ রানে রেখে এই দুজনের বিদায়ের পর বিপর্যয় আরো ঘনীভূত হয় জ্যাঁ পল দুমিনির আউটে। তাঁকে মঈনের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মার্ক উড। এখান থেকেই দুঃসাধ্য এক লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে টিকতে পারেননি হাশিম আমলাও। কুইন্টন ডি কক ও টেম্বা বাভুমাকেও অল্প রানে ফেরান মঈন আলী। ডি ব্রুইন ও কেশব মহারাজরাও পারেননি মঈনের ঘূর্ণির সামনে বুক চিতিয়ে লড়তে। ম্যাচেও তাই আর ফিরতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা।
অবশ্য ব্যাকফুটে থেকেই চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিল তারা। ইংলিশদের দ্বিতীয় ইনিংস না আবার কোন সুদূরে গিয়ে থামে! এই যখন অবস্থা, তখনই রচিত হতে থাকে দুর্দান্ত এক প্রত্যাবর্তনের গল্প। যে গল্পের শুরুটা পেসার মরনে মরকেলকে দিয়ে। উইকেট সেট হয়ে গেলে বড় ইনিংস খেলাটা যাঁর অভ্যাস, ৬৯ রান করা সেই কুককে আগের দিনের সংগ্রহের সঙ্গে ১০ রানের বেশি যোগ করতে দেননি। এরপর ফিরিয়েছেন গ্যারি ব্যালান্সকেও। দিনের শুরুতে মরকেলের দেওয়া জোড়া ধাক্কাটা ধরে রেখেছিলেন অন্য প্রোটিয়া বোলাররাও। এঁদের মধ্যে সর্বাগ্রে থাকবে বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজের নাম। কাগিসো রাবাদাও কম যাননি। যে কারণে জো রুট, মঈন আলী ও বেন স্টোকসদের নিয়ে গড়া দুর্ধর্ষ মিডল অর্ডারও হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়তে সময় লাগেনি। এঁরা কেউ রুখে দাঁড়াতে না পারলেও পেরেছিলেন জনি বেয়ারস্টো। যদিও তাঁর ৭৬ বলে খেলা ৫১ রানের ইনিংসটিতে ভাগ্যের যোগও আছে। মাত্র ৭ রানে ভারনন ফিল্যান্ডার তাঁর দেওয়া সহজ ক্যাচটি না ফেললে হয়তো প্রোটিয়াদের জন্য লক্ষ্য তিন শও পেরোত না! বোলিং তোপে প্রোটিয়াদের জন্য সেই লক্ষ্যটাও অনেক বড় বানিয়ে ছেড়েছেন মঈন-ডসনরা। ক্রিকইনফো।
No comments