বন্যায় কিছু অঞ্চলে সাময়িক খাদ্য সংকট সৃষ্টি হয়েছে: অর্থমন্ত্রী
চলমান বন্যা মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, বন্যার কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খাদ্যের কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে, তবে এটা সাময়িক। এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আমরা প্রস্তুত আছি। বন্যায় দেশে খাদ্য সঙ্কট দেখা দেবে না। গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে সোনালী ব্যাংক ও প্রাণ ডেইরির মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে চালের দাম বেশি। অবশ্য আর্ন্তজাতিক বাজারেও এখন চালের দাম বেশি। বন্যার কারণে দেশে যে বিপত্তি হচ্ছে, সেজন্য চাল আমদানি করতে হচ্ছে অনেক। এতে অনেক ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। তবে দেশের মানুষের জন্য সরকার উচ্চ ব্যয়েই চাল আমদানি করবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, একটি রাষ্ট্রে ১০-১২ বছর ধরে প্রবৃদ্ধি হলে ওই রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। আমরা আট বছর ধরে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। আগামী দুই বছর ক্ষমতায় থাকব এবং প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, উন্নতজাতের গাভী পালন ও দুগ্ধজাত পণ্যের উত্পাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাণ ডেইরির চুক্তিবদ্ধ খামারিদের ঋণ প্রদান করবে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড। অনুষ্ঠানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (কর্পোরেট ফাইন্যান্স) উজমা চৌধুরী এবং সোনালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
সোনালী ব্যাংকের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, সোনালী ব্যাংকের ঋণ খেলাপি, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে আমাদের কিছু কষ্ট দিলেও অনেক ক্ষেত্রে আমাদের আনন্দও দেয়। দুগ্ধ উত্পাদনে সোনালী ব্যাংক কৃষকদের ঋণ দেওয়ার মতো যে কাজ করছে এতে আমরা খুশি। এ সময় তিনি প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত আমজাদ খান চৌধুরীর সঙ্গে কিছু স্মরণীয় মুহূর্তের বর্ণনা করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান, সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আশরাফুল মকবুল, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরীসহ প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ জানান, চুক্তির মাধ্যমে প্রাণ ডেইরির দেয়া তালিকা অনুযায়ী তাদের চুক্তিবদ্ধ খামারিদেরকে এ ঋণ প্রদান করা হবে। খামারিদের জন্যে জামানতবিহীন ঋণসীমা ৫০ হাজার টাকা থেকে দুই লাখ টাকা এবং জামানতযুক্ত ঋণসীমা তিনলাখ টাকা থেকে দশলাখ টাকা। ঋণ পরিশোধের সময়সীমা থাকবে তিন থেকে পাঁচ বছর।
No comments