ঘুম কেন কম?
সুস্থ থাকতে ঠিকমতো ঘুম দরকার। |
১. ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল
কাজের ব্যস্ততা তো থাকেই। নিজেকে চাঙা রাখতে অনেকেই বারবার চা বা কফি পান করেন। কিন্তু এগুলো বেশি পান করলে আমাদের ঘুম বাধাগ্রস্ত হয়। কম ঘুমের এটি একটি কারণ।
২. আবহাওয়া
নরম গদি ও শীতলীকরণ যন্ত্র ব্যবহার করে আমরা আরাম করে ঘুমাতে চাই। তবে তাতেও আছে বিপত্তি। ভালো ঘুমের জন্য প্রাকৃতিক পরিবেশই যথেষ্ট। আমাদের প্রকৃতি সেইভাবেই তৈরি। সূর্য ডুবে সন্ধ্যা হওয়ার পর ঘর এমনিতেই ঠান্ডা হতে থাকে। আবার ভোরে সূর্য ওঠার পর তাপ বাড়তে থাকে। তখন বিছানা ছাড়ার সময় হয়।
৩. প্রযুক্তির ব্যবহার
আধুনিক প্রযুক্তি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে যথেষ্ট। শুধু ঘরের বাতি নয়, মোবাইল, ল্যাপটপসহ বহু যন্ত্রে ব্যবহার হয় এলইডি স্ক্রিন। এগুলোর নীল আলো আমাদের মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণে বাধা দেয়। এই মেলাটোনিনই আমাদের ঘুমের সংকেত দেয়। ফলে ঘুম কমে যায়।
৪. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার
গভীর রাত পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করা নতুন কিছু নয়। দেখা যায়, অনেকে ঘুমাতে গিয়েও বারবার উঠে ফেসবুকে ঢোকেন। ই-মেইল চেক করেন। এগুলো ঘুমের বারোটা বাজাতে যথেষ্ট।
৫. কাজের জন্য ঘুম কমিয়ে দেওয়া
কাজের জন্য অনেকে ঘুমকে বিসর্জন দেন। প্রচলিত আছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প, বারাক ওবামা, মার্গারেট থ্যাচারের মতো বিশ্বনেতারা দৈনিক পাঁচ ঘণ্টা বা তার চেয়ে কম সময় ঘুমের জন্য ব্যয় করেন। অনেকে ভাবেন, ঘুম কম হয় হোক। কাজ করে যেতে হবে। কিন্তু এতে ঘটতে পারে বিপত্তি।
No comments