অক্ষত দুই পাইলট: চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া হরিদারঘোনা এলাকায় বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে বিমানটি ভেঙে পড়ে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। দুই পাইলট উইং কমান্ডার কামরুল এবং স্কোয়াড্রন লিডার নাজমুল প্যারাসুটের সাহায্য নিরাপদে অবতরণ করতে সক্ষম হন। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ জানান, বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। তবে এর আগেই প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থী প্যারাসুটের সাহায্যে নিরাপদে অবতরণ করতে সক্ষম হন।
লোহাগাড়ার ওসি মো. শাহজাহান জানান, থানা থেকে আনুমানিক ১২-২০ কিলোমিটার দূরে হরিদারঘোনা এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। ইয়াক-১৩০ মডেলের এই যুদ্ধবিমানটি রাশিয়ার তৈরি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দুপুর সোয়া ২টায় চট্টগ্রামের জহিরুল হক বিমান ঘাঁটি থেকে উইং কমান্ডার কামরুল ও স্কোয়াড্রন লিডার নাজমুল আকাশে উড্ডয়ন করেন। এর কিছুক্ষণ পর লোহাগাড়ার আকাশসীমা অতিক্রম করার সময় আনুমানিক ১৫ মিনিট পর বেলা আড়াইটায় বিকট শব্দে বিমানটি নিচে পড়ে আগুন ধরে যায়।
খবর পেয়ে হাজার হাজার উত্সুক গ্রামবাসী জড় হয়। পরে বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুজনকে উদ্ধার করে। প্রত্যক্ষদর্শী ফয়েজ আহমেদের বাগানের কর্মচারী আবু তাহের স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, আড়াইটার দিকে হঠাত্ বিকট শব্দে তার কাছে থেকে অন্তত ১০০ মিটার দূরে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। লোহাগাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, দুর্ঘটার পর বিমানবাহিনীর উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উইং কমান্ডার ও স্কোয়াড্রন লিডারসহ দুজনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রা?শিয়ার তৈরি কমব্যাট প্রশিক্ষণ বিমান ইয়াক ভলেভ ইয়াক-১৩০-এর প্রথম কমিশনিং হয় ২০১৫ সালে। তিন হাজার কিলোগ্রাম গোলাবারুদ বহনে সক্ষম এই বিমান।
No comments